প্রকাশিত: Thu, Jul 6, 2023 10:37 PM
আপডেট: Mon, Jun 30, 2025 10:34 AM

ডা. মিলিকে বলির পাঁঠা বানিয়ে আসল কালপ্রিটদের রক্ষা করার চেষ্টা চলছে

আবদুন নূর তুূষার, ফেসবুক থেকে: ডা. মাকসুদা ফরিদা আখতার মিলি দুই যুগের বেশি সময় ধরে স্ত্রীরোগের চিকিৎসক।

১. সেন্ট্রাল হাসপাতালের রোগিনী তার অধীনে ভর্তি ছিলো না। সংযুক্তা সাহা তাকে কোনো দায়িত্ব হস্তান্তর করেও যান নাই।

২. রোগিনীর প্রসব করানো ও সেই সময়ের চিকিৎসায় তার কোনো ভূমিকা ছিলো না।

৩. মিলিকে পরে ডেকে আনা হয় প্রসব পরবর্তীকালে অনিয়ন্ত্রিত রক্তপাত ও জটিলতা নিরসনের জন্য যা সৃষ্টিতে তার কোনো ভূমিকা ছিলো না।

৪. রোগিনীর অবস্থা তখন অতি মূমুর্ষু। সেই অবস্থায় মিলি তার সাধ্যমতো সুচিকিৎসা দেন যেখানে কোনো ভুল ছিলো না।

এখন মিলিকে বলির পাঁঠা বানিয়ে আসল কালপ্রিটদের রক্ষা করার চেষ্টা চলছে।

এই কুকান্ডে সবচেয়ে বড় অংশীদার সেন্ট্রাল হাসপাতাল এর ব্যবসায়ীক মানসিকতার কর্তৃত্বপরায়ণ পরিচালনা পদ্ধতি ও মালিকেরা।

মার্কেটিং বিভাগের চাপ বা নির্দেশে রোগী ভর্তি করা হয়েছিলো সংযুক্তা না থাকার পরেও। সংযুক্তা নাই সেটা বলা হয় নাই একথা রোগিনীর স্বামী একাধিকবার বলেছেন।

এরপর দায়ী ফেসবুকভিত্তিক মিথ্যা ও ভুল তথ্যভিত্তিক প্রচারণা। সংযুক্তা সিজার করেন না এরকম একটি ধারণা সেখানে প্রচার করা হয়েছে দিনের পর দিন। একথা সত্য কিনা সেটা জানতে সেন্ট্রাল হাসপাতালে তার করা সিজারের সংখ্যা পরীক্ষা করা হোক।

এভাবে বিজ্ঞপ্তিমূলক প্রচারণা ডাক্তারদের শাস্ত্র অনুযায়ী আনএথিকাল।

সংযুক্তা নাই তবুও তার নামে রোগী ভর্তি ও বিল তার নামে করা অথচ চিকিৎসা দিচ্ছে অন্য ডাক্তার এটা প্রতারণা। ডাক্তারী টিমওয়ার্ক কিন্তু এটা ক্রিকেট টিমের মতোই। ক্যাপ্টেন না খেললে সেদিন সে কাপ নিতে পারে না। ঐদিন যে ক্যাপ্টেন সে কাপ নেয়।

ডাক্তার ম্যালপ্র্যাকটিস করলে বিএমডিসি তদন্ত করবে ও বিচার করবে। তারপর সেই বিচারে কেউ সংক্ষুব্ধ থাকলে সে আদালতে যেতে পারে।

সব নিয়মনীতি অগ্রাহ্য করে উধোর পিন্ডি বুধোর ঘাড়ে দিয়ে অতি উৎসাহী কর্তৃপক্ষ যা করছে তার নাম মাছের আইন। অবিচার।

মিলিকে আদালতে নিয়ে যাওয়া জামিন অগ্রাহ্য করা এসব হলো এই অযোগ্য মেডিকেল প্রশাসন সিস্টেমের অযোগ্যতার প্রমান।

ডাক্তারদের বৃহৎ সংগঠনগুলো এসব ক্ষেত্রে একটা প্যাড ও স্বাক্ষর সর্বস্ব প্রতিবাদ জানিয়ে খালাস হয়।

বিএমডিসির কাষ্ঠপুতুলেরা নিজেদের ন্যায্য এক্তিয়ার ছেড়ে দিয়ে ল্যাসপেন্সারী করতে থাকে।

আর তথাকথিত সংগ্রামী সংগঠন এর অনির্বাচিত মেরুদন্ডহীন নেতৃবৃন্দ সিস্টেমের দড়িতে বাঁধা তিন নম্বর প্রাণীর মতো ম্যা ম্যা করে।

মিলির সংগে যা হচ্ছে সেটা মিলিকে শাক বানিয়ে অপরাধীদের বোয়াল মাছ ঢাকার চেষ্টা।

আমি ও আমার মতো বহু চিকিৎসক এর প্রতিবাদ জানাই।